সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফতুল্লার চর কাশিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী পুষ্পকে প্রায় সময় মারধর করতেন তার স্বামী আলামীন। ২০২২ সালের ২৬ জুলাই রাতেও ঝগড়া হলে পুষ্পকে বেধড়ক মারধর করেন আলামীন। বিষয়টি জানতে পেরে পুষ্পর বড় ভাই হাসেম মোল্লা রাতে আলামীনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আলামীন হাসেম মোল্লার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে আশপাশের লোকজন হাসেম মোল্লাকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে শিশু মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় নিহত হাসেম মোল্লার ভাই জামাল হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ আসামি আলামীনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আলামীন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ‘আদালত এই মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন। যুক্তিতর্কসহ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আলামীনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। আমরা মনে করি আদালত ন্যায়বিচার করেছেন।’