রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে বন্দরের কুশিয়ারা এলাকার একটি নির্জন স্থান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত নদী আক্তার একই এলাকার মিশর প্রবাসী রাসেলের স্ত্রী। অভিযুক্ত রবিউলও একই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, কুশিয়ারা এলাকার মিশর প্রবাসী রাসেল গত দেড় বছর আগে বিয়ে করেন মুন্সীগঞ্জ জেলার ইদ্রিসপুর গ্রামের নদী আক্তারকে। এর আগে নদীর আরও তিনবার বিয়ে হয়। রাসেল তার চতুর্থ স্বামী। তাই রাসেলের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় তাদের সঙ্গে প্রায় সময় নদীর ঝগড়া হতো। এ নিয়ে রাসেলের সঙ্গে নদীর তালাকও হয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় শিক্ষক স্বামীর আত্মসমর্পণ
স্বজনরা আরও জানান, পরবর্তীতে রাসেল তার বড় ভাই রবিউলের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে পুনরায় নদীকে বিয়ে করেন এবং প্রবাসে চলে যান। তবে রাসেল টাকা ফেরত না দেয়ায় তার স্ত্রী নদী ও বড় ভাই রবিউলের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয়।
রোববার সকালে নদী কাউকে না জানিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভাসুর রবিউল তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে নিজেই থানা পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ মা-বাবার
অভিযুক্তের বরাত দিয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণকারী রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।