মোবাইল ফোন বেচাকেনা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সবুজ মিয়া (৩০) নামে নিহতের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সবুজ পুরান বন্দর এলাকার ইয়ানবী মিয়ার ছেলে।
নিহত শামসুল হক পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকার মাছ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। তিনি প্রবাস থেকে অসুস্থ হয়ে গত এক বছর আগে দেশে ফিরে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে সমরক্ষেত্র সংলগ্ন ডোবায় এক ব্যক্তির মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে শামসুল হকের কাছ থেকে একটি মোবাইল ক্রয় করে তার বন্ধু সবুজ মিয়া। তবে মোবাইল ফোনটি নষ্ট থাকার কারণে এ নিয়ে শুক্রবার শামসুল হকের সাথে সবুজের ঝগড়া বিবাদ হয়। এর পর থেকে শামসুল হক নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সময় সংবাদকে বলেন, 'শামসুল হক নামে ওই যুবক কয়েক বছর মধ্য প্রাচ্যের লিবিয়ায় ছিলেন। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত প্রায় এক বছর আগে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোন কাজকর্ম করতে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং মাদকাসক্ত হন। তিনি নেশা করে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকতেন এবং দুই-তিন দিন বাসায় ফিরতেন না। ফলে পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। এই কারণে দুই দিন আগে তিনি নিখোঁজ হলেও তার পরিবার তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তারা ভেবেছিল বরাবরের মতো নেশাগ্রস্ত হয়ে হয়ত কোথাও পড়ে আছে।'
ওসি লিয়াকত আলী আরও বলেন, 'প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছি। একটি মোবাইল ফোন বেচাকেনা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে মনে করছি। এর সাথে জড়িত অভিযোগে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এর সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে।'