নিহত সীমান্ত রাজধানীর একটি বেসরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার বাসিন্দা হাজী আলমের ছেলে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে সীমান্ত বড়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে কলেজে যাওয়ার সময় দেওভোগের মিন্নত আলী মাজারের সামনে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন সীমান্ত। এরপর থেকে সীমান্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় মাহফিলে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
এ বিষয়ে নিহতের বাবা হাজী আলম সময় সংবাদকে জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে কলেজে যাওয়ার সময় মিন্নত আলী মাজারের সামনে ছিনতাইকারীরা পথরোধ করে সীমান্তর ব্যাগ, মোবাইল টানাটানি করেন। এ সময় বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তারা মাথা, পেটে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় সীমান্তকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র আহত
সময় সংবাদকে তিনি আরও বলেন, ‘আমার একটা ছেলে ও একটা মেয়ে। ছেলেটাই ছিল বড়। আমার একমাত্র ছেলে মারা যাওয়ার পর আমরা সদর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। থানায় আমার ভাই গিয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির সময় সংবাদকে বলেন, ‘সীমান্ত মারা যাওয়ার বিষয়টি একটু আগে শুনেছি। মৃত্যুর খবরটি শুনে খুব দুঃখ লাগছে। তার চাচা আমার কাছে এসেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি মামলার পর আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।’