নামাজে কোরআন তিলাওয়াতে নবীজির সুন্নাহ

৫ দিন আগে
নামাজ ইসলামের অন্যতম ইবাদত। এটি শুধু শারীরিক ইবাদত বরং এটি আল্লাহর সঙ্গে একান্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যম। ফরজ ও সুন্নত নামাজের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে রসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত। এতে নামাজের সৌন্দর্য ও পূর্ণতা বৃদ্ধি পায়। নিম্নে ফরজ ও সুন্নত নামাজে কোরআন তিলাওয়াতের সুন্নত পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ফরজ নামাজে কোরআন তিলাওয়াতের সুন্নত পদ্ধতি


১. সফর অবস্থায়: সুরা ফাতেহার পর যেকোনো সুরা মিলিয়ে নিলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই। ২. ফজর ও জোহর নামাজ: সুরা হুজুরাত থেকে সুরা বুরুজ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। ৩. আসর ও এশার নামাজ: সুরা তারিক থেকে সুরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। ৪. মাগরিব নামাজ: সুরা জিলজাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া সুন্নত।

 

আরও পড়ুন: অন্তর মরে যাওয়ার ৬ কারণ

 

সুন্নত ও অন্যান্য নামাজে কেরাতের সুন্নত পদ্ধতি


১. ফজরের সুন্নত নামাজে: প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস। ২. বেতের নামাজে: প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন আর তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস। ৩. জুমার দিন ফজরের নামাজে: প্রায়ই সুরা আস সাজদা ও সুরা দাহর পড়া। ৪. জুমার নামাজে: প্রায়ই সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া অথবা সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পড়া।

 

৫. দীর্ঘ কেরাতের অনুসরণ: ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে দ্বিতীয় রাকাতের চেয়ে দীর্ঘ কেরাত পড়া। ৬. ফজর নামাজে দীর্ঘ কেরাত: ফজরের নামাজে অন্যান্য নামাজের তুলনায় দীর্ঘ কেরাত পড়া সুন্নত।

 

নামাজে কোরআন তিলাওয়াতের সুন্নত পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি রসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নতের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে ইবাদতকে আরও অর্থবহ ও পূর্ণাঙ্গ করে তোলে। এটি আমাদের ইবাদতকে সুন্দর ও সুচারু করে তোলে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের উচিত এ সুন্নত পদ্ধতিগুলো যথাযথভাবে পালন করা, যেন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে সক্ষম হই।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন