শনিবার (২২ নভেম্বর) নাটোর শহরের বৃহত্তম সবজির পাইকারি বাজার স্টেশন বাজারে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
শনিবার স্টেশন বাজারে ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, পেঁপে ১৫ টাকা কেজি, পালং শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, মূলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, শিম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এছাড়া বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ২৫ টাকা পিস বিক্রি হয়েছে।
দাম পুরোপুরি কমে না আসায় সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা আরও দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
ক্রেতা সেলিম বলেন, ‘সরবরাহ বাড়লেও সেই তুলনায় দাম কমেনি। বিশেষ করে শিম, বেগুন ও নতুন আলুর দাম এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অন্যান্য সবজির দাম আরও কমা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সরবরাহ বাড়লেও খুলনায় মাছ-সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী
আরেক ক্রেতা লিটন বলেন, ‘পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে সবজি কিনতে হয়। আয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবজির বাজারে খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
তবে ভিন্ন কথা জানিয়েছেন কৃষক ও বিক্রেতারা। তাদের দাবি- বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। ফলে দাম আরও পড়ে গেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কৃষক সুমন বলেন, ‘অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদন অর্ধেকেরও কমে গেছে। আগে প্রতি বিঘায় ৩ থেকে ৪ মণ শিম উৎপাদন হলেও এখন হচ্ছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ কেজি।’
কৃষক রফিক বলেন, ‘একদিকে উৎপাদন কমেছে, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বর্তমান দামের চেয়ে দাম কমলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।’

১ দিন আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·