নাটোরে শীতকালীন সবজির দামে ঊর্ধ্বগতি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

২ দিন আগে
নাটোরে গত এক সপ্তাহে শীতকালীন সবজির প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। আড়তদারদের দাবি, সরবরাহ কমে আসায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। কৃষকরা বলছেন অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বৃষ্টিপাতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে।

নাটোর শহরের বৃহত্তম শীতকালীন সবজির পাইকারি বাজার স্টেশন বাজারে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে অধিকাংশ সবজির দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

 

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বাজারে ফুলকপি ৬০-৬৫ টাকা কেজি, পেপে ২০ টাকা কেজি, পটল ২৫-৩০ টাকা কেজি, পালং শাক ৬০-৬৫ টাকা কেজি, মূলা ২০-২৫ টাকা কেজি, বেগুন ৭০-৮০ টাকা কেজি এবং শীম ১১০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাধাকপি ৩৫-৪০ টাকা পিস এবং লাউ ২০-২৫ টাকা পিস দরে পাওয়া যাচ্ছে।

 

সবজির দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। তাদের অভিযোগম, অতিরিক্ত দামে প্রয়োজনীয় সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

 

নূর আলম বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সব ধরনের সবজির দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। দামের কারণে চাহিদামতো সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না।’

 

রুবেল বলেন, ‘পাইকারি দামের ওপর খুচরা পর্যায়ে কেজিতে আরও ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে সবজি কেনা কঠিন হয়ে গেছে।’

 

আরও পড়ুন: চার জেলার দুর্গম চরে অপারেশন ‘ফাস্ট লাইট’, গ্রেফতার ৬৭

 

কৃষকরা জানিয়েছেন, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের বৃষ্টিপাতে সবজির ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তারা স্বাভাবিকের তুলনায় কম পরিমাণ সবজি তুলতে পেরেছেন। ফলে বর্তমানে বেশি দামে বিক্রি করায় কিছুটা হলেও লোকসান পুষিয়ে নিতে পারছেন।

 

কৃষক মিলন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ফলন কমেছে। উৎপাদনও অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন বেশি দাম পাওয়ায় ক্ষতিটা কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারছি।’

 

সবজি সরবরাহ কম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়তদাররাও। তাদের দাবি, বাজার স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন।

 

আড়তদার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরবরাহের তুলনায় সবজির চাহিদা দ্বিগুণ। তাই দাম বাড়ছে। উৎপাদন স্বাভাবিক হতে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন