নাটোরে বাস চলাচলে বাধা, বিএনপি ও আ.লীগ সমর্থিতদের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন

২ সপ্তাহ আগে
নাটোরে রাজকীয় পরিবহনের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাস চলাচলে বাঁধা এবং হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিবহণ শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মাগরিবের আগে ও পরে নাটোর শহরে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছেন উভয় পক্ষের কর্মীরা।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে রাজকীয় পরিবহনের অফিসের সামনে প্রথম মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত রাজকীয় পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা। তারা অভিযোগ করেন, বিএনপি সমর্থিত আর পি পরিবহনের লোকজন তাদের বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছে এবং বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালের কাউন্টারে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।


রাজকীয় পরিবহনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মশিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নাটোরের আর পি পরিবহনের মালিক মো. মানিক, মো. হানিফ, মো. মনির ও মো. মুক্তার হোসেন—তারা সবাই জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের ভাই। আসাদের প্রভাবে আমাদের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির অফিসে এ বিষয়ে আপস বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। একই দিন একদল শ্রমিক বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালে রাজকীয় পরিবহনের কাউন্টারে হামলা চালিয়ে লোকজনকে বের করে দেয় এবং ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে তারা নাটোর থানায় ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালে বিএনপি সমর্থিত আর পি পরিবহনের পক্ষ থেকে পাল্টা মানববন্ধন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সাইফুল ইসলাম আফতাব এবং আর পি পরিবহনের মালিক মুক্তার হোসেন।


আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত


তারা অভিযোগ করেন, রাজকীয় পরিবহনের মালিক মজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা। সাধারণ বাস মাস্টার থেকে শুরু করে বিগত ১৫ বছরে তিনি ৩০টি বাসের মালিক হয়ে গেছেন। তার লোকজনের হামলায় আমাদের বহু শ্রমিক ও মালিক আহত হয়েছেন। মামলা হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেনি।


তারা অবিলম্বে মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানান এবং শনিবারের হামলার জন্য তাকে দায়ী করেন।


ঘটনার সময় জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।


এদিকে, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ গণমাধ্যমকে জানান, বাস টার্মিনালের কোনো বিষয়ে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন