আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবছরের চেয়ে এবার নাটোরে পাটের ভালো উৎপাদন হয়েছে। এখন বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ে কাটা পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। কেউবা পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকদের দাবি, গত বছর বিঘাপ্রতি সর্বোচ্চ ৮ মণ উৎপাদন হলেও এবার হয়েছে ১০ থেকে ১২ মণ। বেসরকারি পাটকলগুলোতে চাহিদা বাড়ায় টানা ৭ বছর পর এবার পাটের ভালো দাম মিলছে।
আরও পড়ুন: সোনালি আঁশ ঘিরে স্বপ্ন বুনছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা
চাষিরা বলছেন, চাষ থেকে বাজারজাত পর্যন্ত প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাটগুলোতে প্রতিমণ পাট ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে বিঘাপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা মিলছে। এছাড়া প্রতি বিঘায় উৎপাদিত পাট খড়ি বিক্রি করে আয় হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
পাটকে সোনালি আশে রুপান্তর করতে রফতানির উদ্যোগ নেয়ার দাবি ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পাট। তবে ভারতে পাট রফতানি করতে পারলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আরও লাভবান হতে পারবে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, পাটের সোনালি দিন আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে সেজন্য রফতানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, গত মৌসুমে জেলায় ২৮ হাজার ৮৯২ হেক্টর জমিতে ৭০ হাজার ২৯৩ মেট্রিক টন পাটের উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছর যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৬৩০ হেক্টরে। যা থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৪ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন।
]]>