বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে হরিশপুর মহাশ্মশানে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।
গ্রেফতার সবুজ হোসেন হরিশপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের তথ্য মতে, মন্দিরের লেবু বাগানে চুরি করার সময় তরুণ দাস চোরদের দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। ছয়জন এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতার সবুজের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য ৫ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে পরিবারের দাবি, পুলিশ হত্যার যে সময় বলছে সেই সময় তরুণ দাস মহাশ্মশানে যাননি।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৪০ যাত্রী রেখে স্টেশন ছড়ল ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’, অবরুদ্ধ স্টেশন মাস্টার
পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গত ২০ ডিসেম্বর সবুজ হোসেনসহ ৬ জন মহাশ্মশানের পাশে একটি লেবু বাগানে লেবু চুরি করে। ১৯ ডিসেম্বর এ মহাশ্মশানে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হওয়ায় চোরেরা ভেবেছিলো সেখানে টাকা রয়েছে। রাত ৯টার দিকে তারা সেখানে চুরি করতে যায়। মহাশ্মশানের দানবক্স থেকে কিছু টাকার পাশাপাশি কাসার থালাবাসন চুরি করে তারা। এ সময় তরুণ দাস মহাশ্মশানের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করলে চোরেরা তাকে ধরে হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে চলে চলে যায়। দীর্ঘক্ষণ বেধে রাখার কারণে তরুণ দাসের মৃত্যু হয়।’
তবে নিহত তরুণ দাসের ছেলে তপু কুমার দাস জানান, মহাশ্মশানের বাইরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এর আগে পুলিশ জানিয়েছে তার বাবাকে ১০টার দিকে শ্মশানে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয়রাও তাকে ১৯ ডিসেম্বর রাত ১০টার পর শ্মশান গেটের দিকে যেতে দেখেছে। পুলিশের আজকের বলা সময়ের সঙ্গে আগের বলা সময়ের মিল না পেয়ে তপু কুমার এ ঘটনার সঠিক তদন্ত চান।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর শ্মশান থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তরুণ দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত তরুণ দাসের ছেলে তপু কুমার দাস ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা করেন।
]]>