নাওয়াজের হ্যাটট্রিকে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা

৩ সপ্তাহ আগে
ইনিংস বিরতিতে যাওয়ার সময় আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের মুখে হাসি লেগে ছিল। পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে ১৪১ রানের মধ্যে আটকে ফেলার পর তা লেগে থাকারই কথা। ৮ উইকেটের মধ্যে ৬টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। বিরতিতে যাওয়ার পথে থাকা নুর আহমেদকে ম্যাচ প্রেজেন্টার যখন ‘ব্রেকফাস্টে কী খেয়েছিলেন’ জিজ্ঞেস করেন, আফগান স্পিনার হেসে হেসেই বলেন ‘ব্যাটার খাওয়ার’ কথা।

নুরদের সেই হাসিটা ম্যাচ শেষে নিশ্চিতভাবেই ছিল না। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ১৪২ রানের লক্ষ্য পাওয়া দলটা মুখ থুবড়ে পড়ে মোহাম্মদ নাওয়াজের বাঁহাতি স্পিনে। পাকিস্তান অলরাউন্ডার তুলে নেন হ্যাটট্রিক। ৭৫ রানে হারের ম্যাচে আফগানিস্তান অলআউট হয়ে যায় ৬৬ রানে, যা টি-টোয়েন্টিতে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা। তারোবায় গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৬ রানে অলআউটটিই সর্বনিম্ন। মিরপুরে ২০১৪ সালে অলআউট হয়েছিল ৭২ রানে।


ইনিংস বিরতিতে নুর বলেছিলেন, পাওয়ারপ্লেতে ভালো শুরু পেলেই তার দল লক্ষ্য তাড়া করে ফেলবে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকুল্লাহ অটল ও ইব্রাহিম জাদরানরা সেই শুরুটা এনে দিতে পারেননি। গুরবাজকে ফিরিয়ে প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদি ভেঙেছিলেন উদ্বোধনী জুটি। ১৩ রান করা সেদিকুল্লাহ বিদায় নেন দলীয় ২৯ রানের সময়। এরপর নাওয়াজের ওই হ্যাটট্রিক।


আরও পড়ুন: বহুজাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ভারত বয়কট করবে না


দলীয় ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে নাওয়াজের শিকার হয়েছিলেন ডারউইশ রাসুলি। ষষ্ঠ বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। নাওয়াজ অষ্টম ওভারে আবার বল হাতে নিলে প্রথম ডেলিভারিতেই স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ইব্রাহিম জাদরান। হ্যাটট্রিকের শিকার হওয়াদের মধ্যে ডারউইশ ও আজমতউল্লাহ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।


মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খানরা এরপর আফগানিস্তানকে লড়াইয়েই রাখতে পারেনি। রশিদ সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন। নাওয়াজ পরে আরও ২ উইকেট শিকার করে ফাইফার পূর্ণ করেন, বিনিময়ে খরচ করেন মাত্র ১৯ রান। আবরার আহমেদ ও  সুফিয়ান মুকিম নেন ২টি করে উইকেট।


পাকিস্তানকে ১৪১ রানে আটকে ফেলতে রশিদ খান নেন ৩ উইকেট, ফজলহক ফারুকী ও নুরের পকেটে যায় ২টি করে, গজনফরের একটি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছিলেন ফখর জামান। নাওয়াজ ২৫ ও সালমান আলী আগা করেন ২৪ রান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন