ফুটবলে অবদানের জন্য ২০০৩ সালে অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদক পেয়েছিলেন বেকহ্যাম। ব্রিটিশ ফুটবলে অবদান এবং সমাজে অবদান রাখায় এবার সেই স্বীকৃতিকে নতুন রূপ দিতে চাইছে দেশটির সরকার। আগামী সপ্তাহে বেকহামের সঙ্গে নাইটহুডের সম্ভাব্য তালিকায় থাকা বাকিদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
জাতীয় দলের হয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন বেকহ্যাম। ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, এলএ গ্যালাক্সি, প্যারিস সেন্ট-জার্মেই এবং এসি মিলানের মতো ক্লাবে খেলেছেন তিনি। ২০১৩ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেন এই ফুটবলার।
২০১১ সালে বেকহ্যাম প্রথমবার নাইটহুডের জন্য মনোনীত হন। তবে সেবার এই পুরস্কার পাওয়া হয়নি তার। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ সংবাদপত্রে বেকহ্যামের ফাঁস হওয়া কিছু মেইল পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, ব্রিটেনের এই নাইটহুট সম্মাননার সমালোচনা করেছেন বেকহাম। তবে পরবর্তীতে বেকহামেরযা মুখপাত্র জানায়, ইমেইল হ্যাক করে মেসেজগুলো বিকৃত করা হয়েছিল। সে কারণে আর আলোচনায় আসেননি তিনি। তবে ক্রীড়াঙ্গন এবং সামাজিক কার্যক্রমে বেকহ্যামের জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান ও জর্ডান
২০১২ লন্ডন অলিম্পিক আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বেকহ্যাম। শুধু তাই নয়, ২০০৫ সাল থেকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ইউনিসেফ ২০১৫ সালে ‘দ্য ডেভিড বেকহ্যাম ইউনিসেফ ফান্ড’ চালু করে।
২০২৪ সালে বেকহ্যাম কিংস ফাউন্ডেশনের শুভেচ্ছাদূত হন যেটি কিং চার্লসের শিক্ষা কার্যক্রম এবং তরুণদের প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো নিয়ে কাজ করে। ইংলিশ ক্লাব সালফোর্ড সিটি এবং ইন্টার মায়ামির অন্যতম মালিক বেকহ্যাম। ইংলিশ এই তারকা ইন্টার মায়ামি সিএফ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন, যা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে।
ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের নাইটহুড দেয়ার প্রচলন আগে থেকেই রয়েছে। বেকহ্যামের সঙ্গে এবার ক্রিকেট তারকা জেমস অ্যান্ডারসনেরও নাইটহুড পাওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
]]>