কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, এটি সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সংগঠিত হওয়া সবচেয়ে বড় অপহরণের ঘটনা। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিামাঞ্চলের একটি স্কুল থেকে ২৫ জন মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা।
নাইজার রাজ্য সরকারের সচিব এক বিবৃতিতে জানান, এই হামলার ব্যাপারে আগেই গোয়েন্দা সতর্কতা পেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। স্কুলটিকে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই পুনরায় চালু করা হয়েছে যার কারণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মীদের এই ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হলো।
নাইজারের স্থানীয় পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যেই ট্যাকটিকাল ইউনিট ও সামরিক বাহিনীকে অপহৃত হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আরও জানান, সেন্ট মেরি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যার সাথে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়র সংযুক্ত। স্যাটেলাইট ছবি অনুযায়ী ৫০টিরও বেশি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে শ্রেণিকক্ষ এবং ছাত্রাবাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লো মন্ত্রীর বিমান!
এই ঘটনার পর অনেক স্থানীয় বাসিন্দা তাদের নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানের জন্য পুলিশের নিকট অভিযোগ করেছেন। তাদের মতে আগে থেকেই এই এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি ছিল। স্থানীয় প্রতক্ষ্যদর্শী ৬২ বছর বয়সি দাউদা চেকুলা সংবাদ সংস্থা এপি’কে জানান, তার সাত থেকে দশ বছর বয়সি চার নাতি-নাতনিকে ধরে নিয়ে গেছে ওই বন্দুকধারীরা।
এই অপহরণের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সফর বাতিল করেছেন নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বোলা টিনুবু। তার জায়গায় উপ-রাষ্ট্রপতি কাশিম শেট্টিমা যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির দফতর।
আরও পড়ুন: সুদান সংকট /আল-ফাশির শহর থেকে পালানো দশ হাজার মানুষের খোঁজ নেই: জাতিসংঘ
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এই ধরনের অপহরণগুলোকে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে বলে ধারণো করছেন। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নাইজেরিয়ার খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু আক্রমণ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দেয়ার পর থেকেই স্কুল শিক্ষার্থী অপহরণ এবং একটি গির্জায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে নাইজেরিয়ার সরকার এই ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এসকল সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির আক্রমণের বেশিরভাগ শিকার মুসলিমরা।
সূত্র: আল-জাজিরা, এপি
]]>
১ দিন আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·