মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে আলোকবালী ইউনিয়ন সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াতের ইসলামী নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় পুরো এলাকা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজন মারা গিয়েছে এবং এই সহিংসতা চলতে থাকলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে।
এলাকায় নিরাপত্তা বলয় বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা। এসময়, তারা অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান।
এ সময় নরসিংদী সরকারি কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও আলোকবালীর বাসিন্দা আহমেদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক বন্ধন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: নরসিংদীর চরাঞ্চলে ফের সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত যুবদল নেতা
নরসিংদী সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক জিএস ও আলোকবালীর বাসিন্দা শরীফ আহমেদ বলেন, ‘প্রশাসনের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন জন মানুষ খুন হয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। লাঘব বোয়ালদের গ্রেফতার করে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম কবির কামাল, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস ভূঁইয়া, ক্রীড়া সংগঠক আওলাদ হোসেন মোল্লা, ছাত্রদলের সাবেক জেলা সেক্রেটারি আব্দুর রউফ ফকির রনি, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস শরীফ আহমেদ, আলোকবালী আব্দুল মান্নান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল বাতেন, নরসিংদী অক্সফোর্ড কলেজের লেকচারার জাহিদুল ইসলাম, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আহমেদ ইসলাম, নিহত ইদন মিয়ার ছেলে কাজী হিমেল, নরসিংদী আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আসাদ সরকার, পৌলানপুর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিবুর রহমান, কাজিরকান্দি আদর্শ একাডেমির প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ মিয়া ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিপু, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী সঙ্গে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান। বর্তমানে এলাকায় চরম আতঙ্ক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।