স্থানীয়রা জানান, এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ভূমিকম্প হলেও বেশিরভাগ মানুষ সেটি টেরই পাননি। কিন্তু সন্ধ্যায় হওয়া ভূমিকম্পে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে কম্পন অনুভূত হয়। শুক্রবার হতে শনিবার পর্যন্ত টানা তিনবার ভূমিকম্প ও তার উৎপত্তি নরসিংদী হওয়ার ফলে জনমনে আতঙ্ক বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্প: উৎপত্তিস্থল নিয়ে আবহাওয়া অফিস ও ইউএসজিএসের ভিন্ন তথ্য
এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সদর উপজেলার অফিস ভবন, সার্কিট হাউজ, পলাশ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪টি আবাসিক ভবন, বেশ কিছু আবাসিক ভবনসহ শতাধিক ভবনে ফাটলের ফলে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতো বড় ভূমিকম্প অনুভূত হলেও প্রশাসনের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি মাঠে।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মাঠ ও ডেইলি ফার্মের মাটি ফাটলের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ৬ সদস্যে একটি প্রতিনিধি দল।
ভূমিকম্পসহ এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আনোয়ার হোসেন।
আারও পড়ুন: রাজধানীতে আবারও ভূমিকম্প
আর জেলায় ভূমিকম্পে ক্ষতি নিরূপণ করাসহ ভূমিকম্পে ফাটল ধরা সরকারি ও বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা চিহ্নিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন।
তিনি আরও জানান, হেলেপড়া ভবন, ফাটল ধরা ভবন চিহ্নিত করতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তিনি জানাতে পারেননি।
অন্যদিকে ভূমিকম্পে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তের পর রাতেই মেরামত করে জাতীয় গ্রিডের সাথে সংযোগ করা হয়েছে।

১ দিন আগে
১






Bengali (BD) ·
English (US) ·