বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় পটুয়াখালী শহীদ মিনারের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আপনারা আপসহীন নেত্রী বলেন। অথচ তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একা একাই নির্বাচন দিয়েছিলেন, যা টেকেনি। সেই ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৬ দিন। আবার ৯৬-তে আমরা যখন মান্নানস কন্যাকে নিয়ে আসছিলাম, তখন তিনি লাঠি-বৈঠার মিছিল করেছেন, ওলামায়ে কেরামকে জেলে ঢুকিয়েছেন। ভেবেছেন ফেরাউনের ক্ষমতা পেয়েছেন। ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এসে খাম্বাকেস ঘটিয়েছে।’
আন্দোলনের সময় অনেক শীর্ষ নেতা মাঠে ছিলেন না দাবি করে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান, ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সফিক সাহেব কেউ তখন রাস্তায় ছিলেন না। আন্দোলনের সফলতা না হলে আমরা সাধারণ কর্মীরা কোথায় যেতাম?’
আরও পড়ুন: পিআর তো বিএনপিরই চাওয়ার কথা: মুফতি ফয়জুল করীম
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে তারা নৌকা চালাতে পারে না, যারা ধানের শীষে নির্বাচন করে ধান কাটতে পারে না, যারা নাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করে তারা নাঙ্গল চালাতে পারে না। কিন্তু হাত পাখা এমন একটি মার্কা যে নির্বাচন করলে সেটি ঘোরানো যায়, তাই সমাজে হাত পাখার প্রয়োজন রয়েছে।’
জাতীয় সঙ্গীত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “আমার সোনার বাংলা” কবিতাটি রচনা করেন। সেই কবিতাই ১৯৭১ সালে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হয়েছে। এটি ভারতের দালালদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে কবিতাটি আমাদের।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার করতে হবে। বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।’
গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। এছাড়া স্থানীয় নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
]]>