রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়তের আগে থেকেই সততার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেন। ব্যবসায় লেনদেনে তিনি কখনো প্রতারণা করেননি। মানুষের হাতে তার কাছে যত সম্পদ, অমানত রাখা হতো, তিনি সব নিখুঁতভাবে ফিরিয়ে দিতেন। এমনকি মক্কার মানুষ তার বিরোধী হলেও অমানত রাখার জন্য প্রথমেই তার কাছেই ছুটে যেত। কারণ, তাকে ছাড়া যে আর কাউকে তারা বিশ্বাস করতে পারত না।
নবুওয়তের পর সততার এ শিক্ষাকেই তিনি দাওয়াতের মূল অংশ বানান। তিনি বললেন,
সততা মানুষকে সৎকর্মের দিকে নিয়ে যায় আর সৎকর্ম জান্নাতে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায় আর পাপ জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর আচরণ কেমন হবে?
আজকের সমাজে চারদিকে দুর্নীতি, অসততা, মিথ্যা ও প্রতারণা বেড়ে চলেছে। রাজনীতি থেকে ব্যবসা, প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যের ঘাটতি স্পষ্ট। অথচ যদি নবিজির সততা আমরা অনুসরণ করতে পারতাম, তাহলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হতো, মানুষের আস্থা ফিরত এবং আধ্যাত্মিক শান্তি আসত।
নবীজির জন্মের মাসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, আমরা নবীজির চরিত্রের এ দিকটিকে জীবনে ধারণ করব। সততাকে নীতি বানিয়ে, মিথ্যাকে পরিহার করে সমাজকে সুস্থ পথে পরিচালিত করব। কারণ সত্য ও সততার আলোকেই গড়ে উঠতে পারে প্রকৃত মানবতা, আর সেখানেই রয়েছে পৃথিবীর মুক্তি।
লেখক: অনুবাদক ও গবেষক, শিক্ষার্থী, ইসলামি আইন বিভাগ, জামিয়া শারইয়্যা মালিবাগ ঢাকা
]]>