নদী ভাঙনের কবলে উচ্চ বিদ্যালয়, রক্ষার দাবি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের

২ সপ্তাহ আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ইছামতি নদীর ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয় ভবনের মাত্র ৩ থেকে ৭ ফুট দূরে পৌঁছে গেছে নদীভাঙন। দ্রুত নদীশাসনের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

জানা গেছে, উপজেলার নলবাড়ী গ্রামের ক্যাম্পেরহাট এলাকায় ইছামতি নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে খেলার মাঠ। মাঠের পশ্চিম পাশে একতলা ভবনের পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ, একটি কমনরুম, একটি টিনশেড লাইব্রেরি এবং দুটি ব্যবহারিক শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষের ঠিক পেছনেই ভয়াবহ নদীভাঙনের কারণে আতঙ্কে দিন পার করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ইছামতি নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। বিশেষ করে পানি বেড়ে গেলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। বিগত ছয়-সাত বছর ধরে এ ভাঙন অব্যাহত রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আর্নিকা আক্তার বলেন, ‘নদীভাঙনের ফলে প্রতিদিন ক্লাস করতে গিয়ে ভয় লাগে। জানি না কখন নদী ভেঙে ভবনটা নিয়ে যাবে! আমরা স্বস্তিতে পড়াশোনা করতে চাই।’

 

আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে দিলো জনতা

 

স্থানীয় বাসিন্দা মিম শাহ বলেন, ‘নদীভাঙনে যদি বিদ্যালয়ের ভবন ধসে পড়ে, তাহলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চরমভাবে ব্যাহত হবে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা জরুরি।’

 

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রশিদা বানু বলেন, ‘প্রতিবছরই বর্ষায় নদীভাঙনের মুখে পড়ি। তবে এখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নদীভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে লিখিতভাবে জানানো হবে, যাতে দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।’

 

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন