রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নদীর জমি দখল মুক্ত করতে বাড়িঘর অপসারণের নোটিশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের শুক নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের পর দেখা গেছে, নদীর জমিতে অবৈধ দখল করে বসতভিটা স্থাপন করে বসবাস করা হচ্ছে এমন ৩৪ জনকে আগামী সাত দিনের মধ্যে বসতভিটাসহ ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আর এসব নোটিশ প্রদানের আগে কয়েক বার মৌখিকভাবেও বলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও তারা সরে না যাওয়ায় নোটিশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নদী দখলে জড়িতদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি
নদীর সীমানায় বাড়িঘর থাকলে নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণেই দ্রুত সময়ের মধ্যে তা অপসারণ করার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের উপর দিয়ে বয়ে চলা শুক নদীর সীমানা নির্ধারণ হওয়ায় নদীর জমি দখল করে অবৈধভাবে যেসব বাড়িঘর স্থাপন করে বসবাস করছে তাদেরকে দ্রুত অপসারণের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি নিজ উদ্যোগ সরে না যায় তাহলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে স্থাপনা অপসারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নদী দখল করে পার্ক বানাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড
পাশাপাশি বাকি নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। সেই নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তারা।