পক্ষে বিপক্ষে অনেক মত, আছে টানা ম্যাচে ক্লান্তির অযুহাত। একটা সিজন শেষ হওয়ার পর বিশ্রাম নয়। তবুও পরিস্থিতির বিবেচনায় ক্লাব বিশ্বকাপ এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। যদিও এনএফএল আর বেসবলের দেশে এ টুর্নামেন্ট নিয়ে এখনও তৈরি হয়নি তেমন আগ্রহ।
বিশ্ব ফুটবলে একক আধিপত্য উয়েফার। অবস্থাটা এমন, ইউরোপ অঞ্চলের বাইরের ক্লাবগুলোকে নিয়ে প্রায়শই নাক সিটকায় তারা। এর আগে ৮ দলের ক্লাব বিশ্বকাপেও ছিলো ইউরোপের দলগুলোর স্পষ্টতই আধিপত্য। তবে এবার সেই শেকল ভাঙার অপেক্ষা। ৩২ দলের টুর্নামেন্ট নিয়ে আশাবাদী সবাই। সেই দলে বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সর্বসেরাদের একজন লিওনেল মেসি।
আরও পড়ুন: ভোরে মেসির দলের খেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ
পেশাদার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত তিনটি ক্লাবে খেলেছেন লিওনেলে মেসি। ইয়ুথ ক্যারিয়ার ধরলে খেলেছেন তিনি মহাদেশে। ইউরোপের ক্লাবগুলোতে একসময় সবচাইতে বেশি ফুটবলার জোগান দিতো লাতিন অঞ্চলের দেশগুলো। কিন্তু সময়ের আবর্তে সেই আবেদন কমেছে। মেসির মতে সেই দুরত্ব ঘোঁচানোর সময় এসেছে।
লিওনেল মেসি বলেন, ‘সাউথ আমেরিকার দলগুলোর কিংবা ফুটবলারদের জন্য এই টুর্নামেন্ট দারুণ একটা সুযোগ। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আপনি আপনার পার্থক্য বুঝতে পারবেন। আমার বিশ্বাস ফুটবলাররা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন। এখানকার সমর্থকদের জন্য এই টুর্নামেন্ট হবে দারুণ। ঘরে বসে বিশ্বের সব নামিদামি তারকার খেলা দেখার সুযোগ সবসময় আসে না। আমার বিশ্বাস তারা খুবই উপভোগ করবেন।’
আরও পড়ুন: স্যোশাল মিডিয়ায় কোন ক্লাবের অনুসারী সবচেয়ে বেশি
টুর্নামেন্টে ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী লিও। ভারসাম্য রক্ষায় যা দারুণ কাজে দিবে বলেও বিশ্বাস তার। ‘বিশ্বের অনেক স্থানেই বড় বড় অনেক ক্লাব কিংবা ফুটবলার আছেন যার নাম হয়তো আমরা জানি না। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তারা সুযোগ পাবে বড় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণের। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের আগে গোটা বিশ্বকে বুদ করে রাখার সুযোগও বটে।’
নিজ দল ইন্টার মায়ামিকে নিয়েও আশাবাদী মেসি। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে শক্তিমত্তায় পার্থক্য থাকায় পা রাখছেন বাস্তবতায়ও।
]]>