নতুন ঠিকানায় পুরোনো বন্ধুকে পেলে তো ভালোই হয়। কেভিন ডি ব্রুইনা-ও সেই চেষ্টাটাই করছেন। বলতে গেলে, নাপোলিতে জ্যাক গ্রিলিশের এজেন্টের কাজটাই করছেন বেলজিয়ান এই মিডফিল্ডার।
কীভাবে গ্রিলিশকে নাপোলিতে নেওয়া যায়, কোচ কন্তের কাছে সেই তদবির করছেন ব্রুইনা। কন্তেও নাকি তার কাছে গ্রিলিশের সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আর ব্রুইনা তো বন্ধুর প্রশংসায় রীতিমতে পঞ্চমুখ।
আরও পড়ুন: শিরোপা উল্লাসে প্রাণ গেলো সমর্থকের, শোকস্তব্ধ আলজেরিয়ার ফুটবল
ম্যানচেন্টার সিটিতে গ্রিলিশের বর্তমান সময়টা অবশ্য খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। দলের স্কোয়াডে অনেক দিন ধরেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন গ্রিলিশ। সম্প্রতি পেপ গার্দিওলার ক্লাব বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
শোনা যাচ্ছে, নতুন মৌসুম শুরুর আগেই গ্রিলিশকে বিক্রি করে দিতে চান গার্দিওলা। সেটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত ধারে পাঠানোর চেষ্টা করবেন। তবে ভবিষ্যতে যদি কেনার প্রতিশ্রুতি থাকে, তাহলেই তাকে ধারে পাঠাবেন।
সিটিতে তার ভবিষ্যৎ কী, সে ব্যাপারে গ্রিলিশ নিজেও অবশ্য জানেন। তিনিও নতুন ক্লাবের খোঁজে আছেন। নাপোলিতে যোগ দেওয়ার সুযোগটাও অবশ্য তার জন্য খারাপ নয়। তবে সমস্যা হতে পারে তার বেতন নিয়ে। সিটিতে সপ্তাহে তিন লাখ পাউন্ড বেতন পান গ্রিলিশ। নাপোলিতে হয়তো এর অর্ধেক বেতনও পাবেন না তিনি। তবে ইংল্যান্ড দলে নিজের জায়গা ফিরে পেতে এবং ২০২৬ বিশ্বকাপের দলে ঢোকার জন্য গ্রিলিশ নিজের বেতন কমাতেও নাকি রাজি আছেন।
আরও পড়ুন: এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচ জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে চায় আবাহনী
গ্রিলিশের জন্য আরেকটা বিকল্প হচ্ছে এভারটন। নতুন স্টেডিয়াম ব্রামলি-মুর ডকে পা রাখার আগে এভারটন চাইছে বেশ তারকাবহুল দল গড়তে। বেতন হয়তো নাপোলির চেয়ে বেশিই দিতে পারবে এভারটন। তবে কন্তের মতো কোচ আর ডি ব্রুইনার মতো বন্ধুকে পাশে পাওয়াটাই গ্রিলিশের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে অনেক খেলোয়াড়কেই কিনেছে নাপোলি। সম্প্রতি ডি ব্রুইনা নাপোলিতে যোগ দিয়েছেন। এর আগে স্কট ম্যাকটমিনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে গিয়ে সিরি ‘আ’র বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। তার সঙ্গে মাঝমাঠে আছেন চেলসি ও ব্রাইটনের সাবেক খেলোয়াড় বিলি গিলমোর, সাবেক ইউনাইটেড স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। এই বছর জানুয়ারিতে বোর্নমাউথ থেকে নাপোলিতে যোগ দিয়েছেন মিডফিল্ডার ফিলিপ বিলিংও।
]]>