শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডায় এক সমাবেশ এই মন্তব্য করেন তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নতুন করে একটি বাংলাদেশে বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই নতুন বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের হারানো আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চায়।’
চরমোনাই পীর বলেন, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর যে রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তা এখন ইসলামের পক্ষের। এখন বাংলাদেশে ইসলামের পক্ষে জোয়ার তৈরি হয়েছে। এই উর্বর জমিতে চাষাবাদের সময় এসেছে। দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে, আগের শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে তারা আবার কী ‘মধু’ খাওয়াবে, তা কোনোদিন মানুষের কল্যাণে পরিণত হবে না।
এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য নেতাকর্মীরা আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার জোর দাবি জানায়। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার দেন তারা।
আরও পড়ুন: শহীদ ও আহতদের রক্তের দায় শোধ করতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে: চরমোনাই পীর
এ সময় অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ. ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘সরকার লন্ডনে বৈঠক করে কেবলা ঘুরে গেছে। তারা চায় বিএনপির হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিতে। জুলাইয়ের সময় বিএনপি বলেছিল এই আন্দোলনে তারা নেই, ছাত্ররা আছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির উচিত ছিল রাষ্ট্র সংস্কার আদায় করে নেয়া। বর্তমান সরকার তাদের কাছে রাষ্ট্রের চাবি-চেয়ার দিয়ে যেতে চায়। এমনটা হলে বর্তমান সরকারকেও চলে যেতে হবে। যেন তেন একটা নির্বাচন দিয়ে চলে গেলে তা মেনে নেয়া হবে না।’
ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি নির্বাচন পেলে যত শতাংশ ভোট পাবেন তত শতাংশ ভোট নিয়ে প্রতিনিধিরা সংসদে যাবেন। আপনাদের পিআর ভালো লাগে না। আপনারা আবার ফ্যাসিস্ট হতে চান সেজন্য ভালো লাগে না। ৩০ শতাংশ পেলে ৩০ শতাংশের স্বাদ পাবেন। ৪০ শতাংশ পেয়ে ১০০ শতাংশের স্বাদ নিবেন, তা হবে না। এ দেশের ৮০ শতাংশ লোক পিআর চায়।’