বৃহস্পতিবার (৮ মে) জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার ভোরে জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ির তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মোট ৭২ জন ভারতীয় নাগরিককে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, তাইন্দং-এর আচালং সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন এবং পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের রূপসেন পাড়া সীমান্ত দিয়ে ৩০ জন প্রবেশ করেছেন।
পুশ-ইন হওয়া এসব ভারতীয় নাগরিকদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তাদের ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে ত্রিপুরার আগরতলায় নিয়ে আসা হয় এবং সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যরা জোরপূর্বক বাংলাদেশে প্রবেশ করায়।
আরও পড়ুন: ৭৯ ভারতীয় মুসলিমকে বাংলাদেশে পুশ করেছে বিএসএফ
বর্তমানে বিজিবির তত্ত্বাবধানে অনুপ্রবেশকারীদের পৃথক তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাড়ি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মানবিক কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা সময় সংবাদকে বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইন ও নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে সীমান্তে এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, বর্তমানে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই এবং অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, আরও ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার জন্য ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় জড়ো করে রেখেছে বিএসএফ।
]]>