নড়িয়া থানায় হামলার ঘটনায় মামলা, কারাগারে ৯

১ দিন আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া থানায় হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) বিকালে সরকারি স্থাপনায় হামলা ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে নড়িয়া থানার উপপরিদর্শক আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।


পুলিশ জানায় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে নড়িয়া থানায় হামলায় করা হয়। ওই হামলার সময় থানার দুটি কক্ষ ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় বিল্লাল হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।


এ ঘটনার পর রাতে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


অভিযোগ উঠেছে নড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজন ও দ্বাদশ শ্রেণি কমিটির ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহীন শেখের নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।


নড়িয়া থানা সূত্র জানায়, নড়িয়া থানার পুলিশ ঘড়িসার ইউনিয়নের বারৈপাড়া এলাকা থেকে  বুধবার সন্ধ্যায় তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। যার কোনো কাগজপত্র ছিল না। পরে ওই মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু পুলিশ ওই মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে আসে। পরে নড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার দ্বাদশ শ্রেণির কমিটির ছাত্রদলের সহসভাপতি শাহীন শেখ ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজনের নেতৃত্বে বেশ কিছু নেতাকর্মী রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানায় যান। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা ওই মোটরসাইকেলগুলো ছাড়িয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে থানায় হামলা চালান। থানার দুইটি কক্ষ ও পুলিশের যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল বিল্লাল হোসেন আহত হন। তাকে রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। এরপর রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়।


আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল ছাড়াতে থানায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলা, পুলিশ সদস্য আহত


পরে সরকারি স্থাপনায় হামলা ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন নড়িয়া থানার উপপরিদর্শক আল আমিন। ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আসামিদের নামা জানাতে চায় না পুলিশ।


এদিকে, থানায় হামলার বিষয়ে ছাত্রদল ও বিএনপির কোনো নেতা মন্তব্য করতে চাননি। আর নড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি রাজন ও দ্বাদশ শ্রেণি কমিটির ছাত্রদলের সহসভাপতি শাহীন শেখের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবারের সদস্যরাও কোনো মন্তব্য করতে চাননি। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।


নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘থানায় হামলা, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। ওই মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন