নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাদ ধস: তদন্তে বেরিয়ে এলো অনিয়ম ও গাফিলতির চিত্র

২০ ঘন্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ছাত্র হলের নিচতলার ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় একের পর এক বেরিয়ে আসছে নকশা জটিলতা, নির্মাণে অনিয়ম ও দায়িত্বে গাফিলতির চিত্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পৃথক তদন্তে এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য।

গত ৩১ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১০ তলা ছাত্র হলের নিচতলার ছাদ ধসে পড়ে আহত হন ১১ শ্রমিক। ঘটনার পর গঠিত হয় একাধিক তদন্ত কমিটি। রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউজিসির পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল।

 

তদন্তে উঠে আসে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে কলামের ওপরে বিম থাকলেও পূর্ব পাশে করিডরের মেঝেতে ইটের গাঁথুনির ওপর বসানো হয়েছে বিম, যা কোনো কলামের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। সেখান থেকেই ছাদ ধসের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা। এছাড়া খুঁটিতে স্টিলের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে, যা নকশা ও নির্মাণ সিডিউলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

 

ইউজিসির তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে পর্যাপ্ত খুঁটি ব্যবহার করা হয়নি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাঁশ খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং ঢালাইয়ের পূর্বে প্রয়োজনীয় অনুমোদনের কোনো নথি পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন: কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাদ ধসের ঘটনায় ইউজিসির তদন্ত কমিটি

 

নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে দায়িত্বে রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএসআই কনস্ট্রাকশন ও দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারর্স। প্রকল্পটির তদারকিতে রয়েছে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেশন লিমিটেড। তবে কেউই গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে চাননি।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহাত হাসান দিদার দাবি করেন, কাজ নকশা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে। প্রকল্প পরিচালকও একই দাবি করেছেন।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ইউজিসির তদন্ত চলছে। যারাই দায়ী থাকুক, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ছাত্র হলটির কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর। শিক্ষার্থীরা চাইছেন, তদন্ত যেন ধামাচাপা না পড়ে এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন