মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এই ‘এমওইউ সাইনিং অ্যান্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার গিভিং সেরেমনি’ অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, কোম্পানিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এই টাকা সিনোড ইলেকট্রিক কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করা হয়েছে ৫ বছরের জন্য। কোম্পানিটি প্রতি বছর বিভাগকে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা মুনাফা দেবে। ৫ বছর পর মূল টাকা বিভাগের অ্যাকাউন্টে ফেরত যাবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে দুইজন শিক্ষার্থীকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেয়া হয়। তাদের মধ্যে একজনকে বিভাগের ল্যাব এসিস্ট্যান্ট এবং অন্যজনকে সেমিনার লাইব্রেরিয়ান পদে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিভাগের এফডিআর এবং সিনোড ইলেকক্ট্রিক কোম্পানি থেকে যে মুনাফা আসবে তা দিয়ে এই বেতন দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাদ ধস: তদন্তে বেরিয়ে এলো অনিয়ম ও গাফিলতির চিত্র
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শাখাওয়াত হোসেন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনোড ইলেকট্রিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আবদুর রহমান।
সিনোড ইলেকট্রিকের সিইও বলেন, ‘আগামীর শিল্পবিপ্লব ৪.০ অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হতে হবে দক্ষতা সম্পন্ন। আগামীর পৃথিবীতে জ্ঞানের সাথে শিল্প-কারখানার যোগ সাজেশ না থাকলে তা কোন কাজে আসবে না।’
স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগর চেয়ারম্যান সাদিক হাসান শুভ বলেন, ‘এই এমওইউর মাধ্যমে একাডেমিয়ার সাথে ইন্ডাস্ট্রির যোগসূত্র তৈরি হলো। আমরা দুজন শিক্ষার্থীকে বিভাগে খণ্ডকালীন চাকরি দিয়েছি। এই ফান্ড থেকে তাদের বেতন দেয়া হবে। আমি মনে করি এটি গ্রাউন্ড ব্রেকিং উদ্যোগ। আমরা পথ দেখালাম। অন্যান্য বিভাগও ভবিষ্যতে এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। আমরা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
]]>