২ সপ্তাহ আগে
৩
৩ মাস আগে নওগাঁ সদর উপজেলার লস্করপুর পুর এলাকার ঘরে ঘরে স্থাপন করা হয় প্রিপেইড মিটার। প্রথম দিকে এসব মিটারে একটি ব্যালেন্স দেয়া হয় গ্রাহকদের। কার্ড পদ্ধতিতে টাকা তোলার পর সার্ভিস চার্জ সহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে হাজারে ৪শ থেকে সাড়ে ৪শ টাকা আগেই কেটে রাখছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলছেন, প্রিপেইড মিটার লাগানোর পর একদিকে দ্বিগুন বিল অন্যদিকে মিটার লকসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। আর এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অফিসে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।
লস্করপুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বিদ্যুত অফিসের লোকজন আগের মিটার খুলে জোরপূর্বক নতুন মিটার বসাচ্ছে। মিটার বসাতে বাধা দিলে হুমকিধামকি দেয়া হচ্ছে।
কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই প্রিপেইড মিটার লাগানোর এ প্রক্রিয়াকে অস্বচ্ছ দাবি করে আসছে নওগাঁ বিদ্যুত গ্রাহক স্বার্থরক্ষা কমিটি। ক্রুটিপূর্ণ প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে নেসকো অফিস ঘেরাওসহ চলছে সভা সমাবেশ। আন্দোলনকারী মাহবুব আলম সোহাগ বলেন, ‘এটি বিগত আওয়ামী শাসনের জালিয়াতি প্রকল্প, যা কখনো জনগণের কল্যাণে করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: সকাল থেকে যেসব এলাকায় টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ
নওগাঁ জেলা বিদ্যুত গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা কমিটির আহবায়ক মো. সাজু আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা আগে শুনানির কথা বলে তারপর মিটার স্থাপনের কথা বলেছি। তবে কথা দিলেও তা রাখেনি নেসকো। তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারনা করে রাতের আধারে জোর করে মিটার লাগানোর কাজ করছে।’
কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন মুকুল জানান, নতুন মিটার ক্রুটিপূর্ণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির নামে গলাকাটা এই প্রকল্প বাতিল করা উচিত।
এদিকে, ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রিপেইড মিটার যুগোপযোগী করার আশ্বাস দিয়েছেন নেসকো প্রকল্প পরিচালক মো. হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, গ্রাহকদের সমস্যা বিবেচনা করে মিটার ব্যবস্থাকে আরও উপযোগী করা হবে।
চলতি বছর নওগাঁ সদর উপজেলায় বাসাবাড়ী ও মিলকারখানায় ১২ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে নেসকো। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট ৭৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এই সকল গ্রাহকের মাঝে ধাপে ধাপে প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করা হচ্ছে।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·