সাধারণত জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি এমন ক্রিকেটাররাই আনক্যাপড হিসেবে পরিচিত। তবে আইপিএলের এ বারের নিলামের আগে নতুন নিয়ম করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতের জাতীয় দলে গত পাঁচ বছর না খেলা ক্রিকেটারদেরও আনক্যাপড তালিকায় রাখা হয়েছিল। সে হিসেবে ধোনিকে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে দলে রাখে চেন্নাই সুপার কিংস। আনক্যাপড ক্রিকেটারদের ধরে রাখার জন্য অবশ্য বড় অঙ্কের অর্থ-ই খরচ করতে হয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। ধোনিসহ অন্য আনক্যাপড ক্রিকেটারনদের ধরে রাখার জন্য ৪ কোটি রুপি খরচ করতে হয়েছিল দলগুলোকে।
গাভাস্কার মনে করেন, শুধু ধোনির কারণেই আনক্যাপড ক্রিকেটারদের জন্য অর্থের পরিমাণ এত বেশি রাখা হয়েছিল। যা ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত নষ্ট করছে।
তিনি বলেন, ‘গত নিলামে ধোনিকে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে ধরে রেখেছে চেন্নাই। ধোনির জন্যই এই বিভাগে অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪ কোটি করা হয়েছে। তার ফলে অনেক তরুণ ঘরোয়া ক্রিকেটাররা কোটি কোটি টাকা পেয়েছে। এতে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আইপিএলের প্লে-অফের পথে কারা এগিয়ে, কারা পিছিয়ে
বিভিন্ন রাজ্যের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে কোনো তরুণ ক্রিকেটার যা পান, আইপিএলে তার থেকে অনেক বেশি অর্থ পান। মোটা অঙ্কের অর্থের কারণে তরুণদের খেলার ইচ্ছে কমে যায় বলে মনে করেন গাভাস্কার।
তিনি বলেন, ‘অনেক ঘরোয়া ক্রিকেটার কোটি কোটি টাকা পাচ্ছে। এতে ওদের রানের খিদে ও খেলার ইচ্ছা দুটোই কমে যাচ্ছে। ওরা সফল হচ্ছে কি না সে দিকে কারও নজর থাকছে না। সকলে শুধু টাকার পিছনে ছুটছে।’
আরও পড়ুন: এবার হত্যার হুমকি পেলেন মোহাম্মদ শামি
ভারতীয় এ কিংবদন্তির মতে, বোর্ডের উচিত আনক্যাপড ক্রিকেটারদের টাকার পরিমাণ কমানো। তাতে তাদের ভালো খেলার ইচ্ছা বাড়বে। তিনি বলেন, ‘অনেক টাকায় বিক্রি হওয়া কোনো ঘরোয়া ক্রিকেটার ভালো খেলেছে, এমন নাম আমি মনে করতে পারছি না। ভালো না খেলায় ওদের উপর চাপ আরও বাড়ছে। তাতে ভারতীয় ক্রিকেটরই ক্ষতি হচ্ছে। এই বিষয়টা বোর্ডের ভাবা উচিত।’