ধূমপান দেখে ফেলায় শিশু লামিয়াকে মেরে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে মাদ্রাসাছাত্র

৪ সপ্তাহ আগে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ধূমপান করতে দেখে ফেলার কারণেই ৬ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে লামিয়া হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত। সে সম্পর্কে নিহত লামিয়ার দূসম্পর্কের মামা হয়। গ্রেফতারের পর ওই মাদ্রাসাছাত্র হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ মো. কামরুজ্জামান বলেন, গত ৩ জুন দুপুরে ছোট বিন্নাদাইর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির গাছে জামরুল কুড়াতে যায় শিশু লামিয়া। ওই বাড়ির একটি কক্ষে বসে শিশু লামিয়ার চাচাতো মামা মাদরাসাছাত্র আরাফাত ধূমপান করছিল। ধূমপান করতে দেখে লামিয়া তার নানাকে বিষয়টি বলে দেওয়ার কথা বললে ওই মাদরাসাছাত্র শিশু লামিয়ার মুখ চেপে ধরে। এ সময় লামিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সে বাড়ি থেকে টেপ নিয়ে গিয়ে লামিয়ার মুখে টেপ লাগিয়ে দেয় এবং হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে। কিন্তু লামিয়া নড়াচড়া না করায় মৃত ভেবে তাকে সেপটিক টাংকের ভেতর ফেলে দিয়ে তার মামার বাড়িতে চলে যায়।


তিনি আরও জানান, বুধবার ভোরে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার বাবা নাজিম সরকার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ, পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর হত্যা

নিহত লামিয়ার বাবা নাজিম উদ্দিন বিয়ের পর থেকে  স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেম। যে কারণে দুই মেয়েকে নানার বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন এই দম্পতি। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে শিশু লামিয়াকে না পেয়ে থানায় ডায়েরি করেছিলেন নানা আব্দুর রশিদ। 


পরে বুধবার ভোরে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের ছোট বিন্নাদাইর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু লামিয়ার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন