শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই গৃহকর্মীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে গৃহকত্রী নাসরিন সুলতানা জানান, ধানমন্ডি ৯/১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাসায় থাকেন তিনি। মারিয়া তার বাসায় ৩ মাস ধরে কাজ করে। শনিবার দুপুরে মারিয়াকে বাসায় রেখে বাজারে যান তিনি। বেলা ৩টার দিকে বাসায় ফিরে দরজা ধাক্কালে কোনো আওয়াজ পাচ্ছিলেন না। পরে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তিনি দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে মারিয়া। সঙ্গে সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নামিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল নেয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে থাকতে পারে সেই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন গৃহকত্রী নাসরিন সুলতানা।
কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলার খালশা গ্রামের মাসুদ ইসলামের মেয়ে মারিয়া। তার নানি বকুল বেগম জানান, তারা রায়েরবাজার এলাকায় থাকেন। দুপুরে গৃহকর্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারেন, মারিয়া গলায় ফাঁসি দিয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে মারিয়ার মরদেহ দেখতে পান।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহকর্মীর গলায় দাগ রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের জন্য ধানমন্ডি থানায় অবগত করা হয়েছে।
]]>