শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘরের একাংশ। ভাঙচুরের তৃতীয় দিনে এক্সকাভেটরের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে হামার, হাতুড়ি, শাবল।
ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকার আশপাশ এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই দেখতে এসেছেন মুজিবের ভাঙা বাড়ি। স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলে রাখছেন অনেকে। তারা বলছেন, যা কিছু হচ্ছে তার দায় মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার।
কলেজ শিক্ষার্থী নুরে আলম বলেন, ‘যেমন কর্ম, তেমন ফল। আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা যেন এগুলো স্মরণ রাখেন। যেন পরবর্তীকালে এ ধরনের কিছু যেন না হয়।’
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টা
বেসরকারি চাকরিজীবী তুষার ইসলাম বলেন,
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে ইয়াং জেনারেশন। ক্ষোভ এমন ধ্বংসই করে। তবে ইয়াং জেনারেশনের উচিত, দেশ গড়ার জন্য নেমে পড়া।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কংক্রিট আর আসবাব পোড়া ছাই উড়িয়ে লোহালক্কড় কুড়িয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার কেউ ফ্যাসিস্টের চিহ্ন সংরক্ষণ করতে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন ইটের টুকরা এমনকি কয়লাও।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান ছাত্র-জনতার।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শেখ মুজিব-হাসিনার ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা
ফিরবে গণতন্ত্র, ক্ষমতায় আসবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নতুন রাজনৈতিক দল-- এমন প্রত্যাশায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসা জনতা বলছেন, এই পরিণতি শিক্ষা দেবে রাজনীতিবিদদের। ঢাল হয়ে ঠেকাবে নতুন কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থানকে।
]]>