পুলিশ ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর তপুর মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া এলাকায় জড়ো হচ্ছিল একদল কর্মী।
এ সময় মুজাহিদ নামে এক যুবকের সাথে ধাক্কা লাগে অপর এক যুবকের। এ নিয়ে দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। পরে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য মোশারফ এগিয়ে গেলে মুজাহিদ মোশারফকে মারধর করে। পরে ঘটনাটি তাৎক্ষণিক দুই পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে দুটি পক্ষ দুই দলে বিভক্ত হয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবরের ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তবে দাঙ্গাবাজরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতির পুলিশে নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায়। এক পর্যায়ে সৈয়টুলা এবং উচালিয়া পাড়া গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহতদেরকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতাউল্লাহ ও রুমিন ফারহানার সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, আমার সভাস্থল থেকে একটু দূরে ঘটনাটি ঘটে। আমার কর্মী মোশারফকে মুজাহিদ নামে এক যুবক মারধর করে। মুজাহিদ কে তার পরিচয় জানা যায়নি। আমাদের ধারণা স্বৈরাচারের দূসরেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় দোষীদের বিচার চাইছি। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রোগ্রামটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে কমেন্টস করা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করেছি। পরে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়া হয়েছে।
]]>