সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতার আসামিকে বাগেরহাট জেলা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে মোংলার শহরতলীর চাদঁপাই ইউনিয়নের চৌকিদারের মোড় এলাকা থেকে র্যাবের সহযোগিতায় পুলিশ আসামি মো. সজীব হাওলাদারকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ধর্ষণের সহায়তাকারী সজীব হাওলাদার পৌরসভার জয় বাংলা এলাকার কবির হাওলাদারের ছেলে। তিনি ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
আরও পড়ুন: তুলে নিয়ে ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সজীব ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে মামলার প্রধান আসামি মো. আসহাবুল ইয়ামিন (২৪) গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধবী কলোনির বাসিন্দা এবং তার বাবা বলাকা মোংলা বন্দরের নৌযানের মাস্টার পদে কর্মরত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সখ্যতার একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীকে (৮) সুন্দরবনে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে গিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তা ভিডিও করেন আহসাবুলসহ তার বন্ধুরা। এ সময় তাদের সঙ্গে অন্য এক তরুণী ছিলেন। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাক মেইলের মাধ্যমে আরও কয়েকদফা ধর্ষণ করে আহসাবুল ইয়ামিন।
আরও পড়ুন: চকলেট দেয়ার কথা বলে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ!
সজীব হাওলাদারসহ অন্য দুই বন্ধু ও এক তরুণী এইসব ঘটনায় সহযোগিতা করেন। পরে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রাতে ওই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করে।
এ দিকে এ মামলা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করা ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামিদের পক্ষ থেকে বাদীর স্বজনদের ফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মোংলা থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। যে কোনো মুহূর্তে ভিকটিমের পরিবারকে বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তার চান তারা।