দ্রুত ফুরিয়ে আসছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা 'অ্যারো ইন্টারসেপ্টর'!

৩ সপ্তাহ আগে
ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এখনই সংকটে ইসরাইল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষাব্যবস্থা 'অ্যারো ইন্টারসেপ্টর' দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। পরিস্থিতি আঁচ করে আগেই স্থলে, আকাশে ও সমুদ্রে সহায়তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি ঘোষণার পর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান। তবে এর বেশিরভাগই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে আকাশ প্রতিরক্ষা সংকটে পড়েছে তেল আবিব।


ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহৃত অ্যারো ইন্টারসেপ্টরের মজুত উদ্বেগজনকভাবে কমে এসেছে। এ কারণে ইরানের ছোড়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতে ইসরাইলের সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

 

আরও পড়ুন: ইরান কতটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, জানাল নেতানিয়াহুর দফতর


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র মাসখানেক ধরেই বিষয়টি জানত এবং আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করে তারা। এরইমধ্যে স্থলপথ, সমুদ্র এবং আকাশে প্রতিরক্ষা সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে ইসরাইলে। এই সমন্বিত ব্যবস্থায় আক্রমণ প্রতিহত করার সক্ষমতা কিছুটা হলেও টিকিয়ে রাখতে চায় ওয়াশিংটন।


অ্যারো ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম মূলত ইরানের মতো দেশের ছোড়া উচ্চগতির ও উচ্চমাত্রার ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি ইন্টারসেপ্টরের খরচ কয়েক মিলিয়ন ডলার এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। যে কারণে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এর ঘাটতি তৈরি হওয়া দেশটির জন্য হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আরও পড়ুন: ইরানের হামলায় নিহতের সংখ্যা গোপন করছে ইসরাইল!


ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গোলাবারুদের মজুত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণে বোঝা যায়, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে অস্ত্রভাণ্ডারের ঘাটতি আরও প্রকট হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে পশ্চিমা সহায়তা না থাকলে ইসরাইলে বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এই ঘাটতি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন