আরও বলা হচ্ছে, হিমশৈলটি পুরোপুরি হারিয়ে গেলে মেরু অঞ্চলের স্থল ভাগের বরফ গলে বাড়তে পারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। এতে ক্ষতির মুখে পড়বে বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বরফখণ্ড হিসেবে একসময় পরিচিত ছিল এটুয়েন্টিথ্রিএ নামের হিমশৈলটি। তবে এই তালিকা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এটি। বিশাল এই হিমশৈল ভেঙ্গে পরিণত হয়েছে ছোট ছোট টুকরায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নভেম্বরের শেষ দিকে একেবারেই হারিয়ে যেতে পারে এটি।
বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, হিমশৈলটি ভাঙতে ভাঙতে পুরোপুরি হারিয়ে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে না। তবে এই খণ্ডটি মেরু অঞ্চলের স্থল ভাগের বরফ গলিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কয়েক মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। আর এমনটা হলে ক্ষতির মুখে পড়বে বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল।
আরও পড়ুন: সমুদ্রতল থেকে স্থলের দিকে ধেয়ে আসছে বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল!
এটুয়েন্টিথ্রিএ বরফখণ্ডটি অ্যান্টার্কটিকা থেকে ভেঙে ১৯৮৬ সালের দিকে বেরিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা ১৯৫০ সালে এর নাম দেন গ্র্যান্ড চ্যাসম। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে জানান, তিন দশকের বেশি সময় ধরে এটি অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ অংশে থাকলেও গেল কয়েক বছরে অস্বাভাবিকভাবে উত্তরের দিকে সরে যাচ্ছে।
অনেকবারই সেখানে বিশালাকার হিমশৈল দেখা গেছে। অ্যান্টার্কটিকার চারপাশের কিছু বরফস্তরও এই গলন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। এর ওপরের অংশ পানিতে ভিজে যায়, সেই পানি ভেতরে প্রবেশ করে ফাটল সৃষ্টি ধরে টুকরাটি ভাঙে।
চলতি বছরের শুরুতে বরফখণ্ডটির আকার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ছোট অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের সমান আর ওজন ছিলো এক ট্রিলিয়ন টন। কিন্তু ভাঙতে ভাঙতে এখন এর আকার নেমে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরের কাছাকাছি। এটুয়েন্টিথ্রিএর আকার ছোট হয়ে যাওয়ায় এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফখণ্ডের খেতাব গেছে আরেক হিমশৈল ডিফিফটিনএ’র কাছে।
আরও পড়ুন: সরে যাচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম হিমশৈল
]]>