বুধবার (৭ মে) আদালতের নির্দেশে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম সাজ্জাদুল হাসান।
জানা যায়, ২০২২ সালের মার্চে বাড়ির পাশে পুকুরে সেচ দেয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে চপলের মৃত্যু হয় বলে দাবি করা হয় এবং পরে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
তবে কিছুদিন পর চপলের দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিদা আক্তার রুমা অভিযোগ করেন, তার স্বামী বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাননি, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি চপলের বড় ভাই বিপ্লব হাসান খানের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দিলে তারা পুনরায় মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করে। আদালতের নির্দেশে চপলের দেহাবশেষ উত্তোলন করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ সিআইডির পরিদর্শক সাদেকুজ্জামান বলেন, ‘চপলের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নিখোঁজের দুদিন পর মাছের খামারে মিলল যুবকের মরদেহ
মামলার বাদী চপলের দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিদা আক্তার রুমা বলেন, ‘আমার স্বামী তার মায়ের জমিতে ফিশারি করেছিলেন। এ নিয়ে তার বড় ভাই বিপ্লবের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এছাড়া একটি এনজিওর মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার কারণে আরও কিছু মানুষের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয়। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর বিপ্লব তাকে সন্তানসহ স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে চপলের প্রথম স্ত্রীর ছেলে পুলক হাসান খান বলেন, ‘বাবা বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিদা আক্তার সে সময় হত্যার কোনো অভিযোগ তোলেননি। এখন তিন বছর পর এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে চপলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি।’
]]>