মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিকাল ৩টার পর নাগরিক ঐক্যর সঙ্গে বৈঠকে বসে ঐকমত্য কমিশন। নাগরিক ঐক্যর প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দীপুর নেতৃত্বে ১০ সদস্যে প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।
পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জিল্লুর চৌধুরী দীপু বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়েছে। আরও একদিন আলোচনা করতে হবে।
তিনি আরও জানান, সংবিধান কমিশনের বিষয় আলোচনা হয়েছে। দ্বৈত সংসদে একমত নয় এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চেয়েছে নাগরিক ঐক্য।
এছাড়া ২৫ বছর হলে নির্বাচন করার বিধান বহাল ও নারীদের সংরক্ষিত আসন নিয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। নারীদের ১০০ আসন সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের সহ-সভাপতি আরও বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে কথা হয়।
আরও পড়ুন: সবার অংশগ্রহণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রচেষ্টা: আলী রীয়াজ
এছাড়া ছক আকারে ঐকমত্য কমিশনের মতামত চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, স্প্রেড শিটে আমরা ১৬৬টার মধ্যে ১১৪টাতে (সুপারিশ) একমত হয়েছি, ১১টিতে আংশিক একমত হয়েছি। বাকিগুলোতে একমত হতে পারিনি। আশা করি আলোচনায় এসব বিষয় ব্যাখ্যা করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। এতে সহসভাপতি হিসেবে রয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য ধরে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি সম্ভব: আলী রীয়াজ
সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। তার মধ্যে নয়টি দল এখনো তাদের মতামত দেয়নি।
দলগুলোর মতামতের পর তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম দল হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে গত ১৮ মার্চ বসে কমিশন।
রোজার ঈদের আগে চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়। ঈদের পর সোমবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। আর মঙ্গলবার বসেছে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে। সব মিলিয়ে ছয়টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন।