হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে দোয়া করছিলো আয় আল্লাহ! আমি আপনার নিকট সবর করার তৌফিক চাচ্ছি।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তুমি তো আল্লাহ্র নিকট মুসিবত চাইতেছো। (কেননা সবর তো মুসিবতের উপর হয়ে থাকে।) আল্লাহ তাআলার নিকট নিরাপদ জীবন চাও। অপর এক ব্যাক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
সে এই দোয়া করছিলো, আয় আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পরিপূর্ন নেয়ামত চাই। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আদমের বেটা! তুমি জান কি, পরিপূর্ন নেয়ামত কি? সে বলল, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি এই দোয়া কল্যাণ কামনা করে চেয়েছি। (আমি জানিনা পরিপূর্ন নেয়ামত কি?) তিনি বললেন পরিপূর্ন নেয়ামত হলো জাহান্নাম হতে নাজাত পাওয়া ও জান্নাতে প্রবেশ করা।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপর এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে গেলেন। সে এরূপ বলছিল- يَا ذَا الْجَلاَلِ واْلإِكْرَامِ তিনি বলিলেন, তোমার দোয়া কবুল হওয়া নিশ্চিত হয়ো গিয়েছে, তুমি চাও। (কানয)
আরও পড়ুন:
নিরাপদ ভ্রমণে যে দোয়া পড়বেন
মেঘের গর্জন শুনলে যে দোয়া পড়বেন
দ্বীনের বিষয়ে অবিচল থাকতে যে দোয়া পড়বেন
প্রচণ্ড ঝড়-বাতাস বইতে শুরু করলে যে দোয়া পড়বেন
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,
তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)
হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)
হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)