রোগীদের চাপ সামলাতে বাধ্য হয়ে মেডিকেল অ্যাসিট্যান্ট ও নার্সরা রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা জানালেন উপজেলার মানুষ অনেকটা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
বোচাগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৭১৯ জন মানুষের চিকিৎসার জন্য নির্মিত ৫০ শয্যা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেই আবাসিক রোগীদের দেখা থেকে শুরু করে বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। ফলে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে সু-চিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন
বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৩শ’ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এত সংখ্যক চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা নিতে আসা শামীম চৌধুরী জানান, আবাসিক এবং জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক নাই। বাধ্য মেডিকেল অ্যাসিট্যান্ট ও নার্সদের পরামর্শ নিতে হচ্ছে। প্রেসক্রিপসনও তারাই দিচ্ছেন। খুব দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগে দাবী জানিয়েছে রোগী ও স্বজনরা।
চিকিৎসকদের কক্ষগুলো তালা বন্ধ। রোগীদের চাপে বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে মেডিকেল এসিট্যান্ট ও নার্সরা রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। এই প্রতিনিধি মেডিকেল এসিট্যান্ট ও নার্সদের প্রশ্ন করলে মেডিকেল অ্যাসিট্যান্ট আতাউর রহমান, মো. সাকিব ও সিনিয়র নার্স আসমা বেগম বলেন, ’দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নাই। শত শত রোগীর দাবির মুখে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নাটোর সদর হাসপাতাল / সোয়া ৩ কোটি টাকা খরচ, তাও সেবাবঞ্চিত কিডনি রোগীরা
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, একাই রোগীদের চিকিৎসা সেবাসহ প্রশাসনিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, ৫০ শয্যা বোচাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ১৬ জন। সেখানে রয়েছে মাত্র একজন। তবে নতুন করে ৪ জনের পদায়ন হলেও একজনও যোগদান করেননি।