প্রথম দিনের সকালের পিচের সুবিধাটা দারুণভাবে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। অ্যান্ডিলে চার্লস একাই ছিন্নভিন্ন করে দেন বাংলাদেশের টপ এবং মিডল অর্ডার। ওই পরিস্থিতিতে কামব্যাক করাটা বেশ কঠিনই ছিল বাংলাদেশের জন্য। দিনশেষে তখনকার পরিকল্পনা নিয়ে সেঞ্চুরিয়ান ইফতি জানান, আগপিছ না ভেবে ইনিংসটাকে শুধু এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে গেছেন তিনি এবং মইন।
এ প্রসঙ্গে ইফতি বলেন, 'শুরুটা একটু কঠিন ছিল। আমরা দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারিয়ে ফেলি। তখন মইন ভাই আসল। কথা বললাম যে উইকেট খারাপ, যতটুকু এগিয়ে নেয়া যায়....চেষ্টা ছিল লম্বা সময় ব্যাটিং করার। এভাবেই পরিকল্পনা করে গেছি।'
আরও পড়ুন: ইফতির সেঞ্চুরি, মইনের ৯ রানের আক্ষেপের দিনে বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ
তিনি আরও বলেন, 'পরিকল্পনা ছিল শুরুতে একটু সময় নেব। তারপর পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করব। কিন্তু কয়েকটা দ্রুত উইকেট চলে যাওয়ায় ব্যাকফুটে চলে যাই। পরে আমি আর মইন ভাই কাভার করেছি। শুরুতে উইকেট কঠিন ছিল, টার্নও বেশি ছিল।'
লম্বা ইনজুরি পার করে এই ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফিরেছেন ইফতি। এসেই পেলেন সেঞ্চুরি। মাইলফলকের প্রতিক্রিয়ায় এই ক্রিকেটার বলেন, 'গেইম বাই গেইম পরিকল্পনা করে গেছি। আমি দেড় মাস ইনজুরিতে ছিলাম। এসে প্রথম ম্যাচটা খেলা হয় নাই। একটু প্রস্তুতির ব্যাপার ছিল। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।'
'এনসিএলটা ভালো গিয়েছে। ৬০০'র মতো রান করেছি। প্রিমিয়ার লিগও ভালো গেছে.... টি-টোয়েন্টিও মোটামুটি গিয়েছে। সেই সুবাদেই এখানে ডাক পেয়েছি। অনেকদিন ইনজুরি ছিল.. দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ছিলাম না। চেষ্টা করেছি ভালো খেলার... বাকিটা আল্লাহর হাতে।'
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজে ম্যাচ অফিসিয়াল হিসেবে থাকছেন যারা
তিনি আরও বলেন, 'শেষবেলায় আউটটা খারাপ লেগেছে। তবে সেঞ্চুরিটার জন্য ভালো লাগছে। অনেকদিন ইনজুরির পর প্রথম ম্যাচে ফেরেই সেঞ্চুরি করলাম।'
ম্যাচে বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়ে ইফতি বলেন, 'আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। চেষ্টা থাকবে ৩০০'র বেশি রান করা। পরিকল্পনা ছিল আজকে শেষ করে এসে কালকে নতুন করে শুরু করার। কিন্তু হয়নি। তবে যা হয়েছে তাতেও খুশি।'
৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মইন আর ইফতি মিলে ১৭৯ রানের জুটি গড়েন। ইফতি সেঞ্চুরি পেলেও মইন আউট হয়েছেন ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে। তার বিষয়ে ইফতি বলেন, 'খারাপ লাগছে। দুজনেই একসঙ্গে সেঞ্চুরি করতে পারলে ভালো লাগতো।'
]]>