বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্ত এলাকার বাখোর আলী বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
এ সময় রায়হান আহমেদ হিমেল বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এরইমধ্যে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই দাবিতে চাপ সৃষ্টি করেছি। আশা করছি পর্যায়ক্রমে দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশ ও সার্বভৌমত্বের মূল মালিক জনগণ। তাই সকল বৈদেশিক চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। বিশেষ করে হাসিনার কর্তৃত্ববাদ ও ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে সম্পাদিত জাতীয় স্বার্থ ও দেশের সার্বভৌমত্ব পরিপন্থী সকল বৈশ্বিক চুক্তি বাতিল করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে প্রতিরক্ষা ও সংবেদনশীল চুক্তি সমূহের গোপনীয়তা রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলবের কারণ জানালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এই সংগঠক বলেন, ভারত ভালোবাসে শুধু আওয়ামী লীগ দলকে। বাংলাদেশকে তারা কখনোই ভালবাসেনি। এজন্যই তারা এমন আগ্রসন চালাচ্ছে। ভারত বিভিন্নভাবে বন্যার পানি দিয়ে আমাদের সমস্যা সৃষ্টি করে তাই পানি আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে বর্ষার ও বন্যার পানি ধরে রাখার জন্য অবিলম্বে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি আল মুজাহিদ লিঠু বলেন, সীমান্ত এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা দেশের সরকার কূটনৈতিকভাবে সমাধান করতে পারে। এতে সীমান্তে শান্তি নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কী বললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান?
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত এলাকার অর্ধশত স্থানীয় বাসিন্দারা।
]]>