দেশের ফুটবল ইতিহাসে আস্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে সিঙ্গাপুর। ১৯৭৩ সালের ১৩ আগস্ট, তাদের হারিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম জয় বাংলাদেশের। লম্বা সময় পর যখন বাঁক বদলের সম্ভাবনা লাল-সবুজে, কাকতালীয়ভাবে প্রতিপক্ষ সেই সিঙ্গাপুর।
ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর খেলেছে ৪ ম্যাচ। সমান একটি করে জয় দু'দলের, একটি করে ড্র। ফিফা র্যাঙ্কিং-এ বাংলার ১৮৩'র বিপরীতে সিঙ্গাপুরের অবস্থান ১৬১। ২২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটার বিপক্ষে ম্যাচ কঠিনই হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ দলে সম্প্রতি যোগ হয়েছে এমন কিছু অস্ত্র, যার বদৌলতে ক্যাবরেরা বাহিনী যে ফেবারিট তা বলতে দ্বিধা নেই।
আরও পড়ুন: সমর্থকদের তোপের মুখে ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট বক্স বন্ধ করলেন আরাউহো
বাংলাদেশ স্কোয়াডে হামজার উপস্থিতি মারাত্মকভাবে স্নায়ু দুর্বলতায় ভুগিয়েছিলো ভারতকে। সেই দলে এবার যুক্ত হয়েছেন সমিত সোম। এই খবর নিশ্চিতভাবে আরো ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে সিঙ্গাপুরকে। যে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই সম্ভাবনা তৈরি হবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার।
চারবারের আসিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন সিঙ্গাপুরকে হালকা ভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। তবে তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বেশ মলিন। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকং'র বিপক্ষে ড্র করা দলটা জয় বঞ্চিত শেষ ছয় ম্যাচে। এর মধ্যে হারের তিক্ততা চারটিতেই।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ২০২৬ বিশ্বকাপে রাশিয়াকে সুযোগ দিতে চান ট্রাম্প!
স্কোয়াড বিশ্লেষনে দেখা যায় সিঙ্গাপুরে এমন কিছু ফুটবলার আছেন, যারা ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত। বিশেষ করে বলতে হয় থাই লিগে খেলা ইখসান ফান্দির কথা। গোল স্কোরিংয়ে ব্যাপক দক্ষতা এই ফরোয়ার্ডের। অভিজ্ঞ শাওয়াল আনুয়ার যেন তাকেও ছাড়িয়ে। গেলো কয়েক ম্যাচ গোলের দেখা না পেলেও তার স্কোরিং অ্যাবিলিটি দুর্দান্ত। এছাড়াও ডেনমার্কে জন্ম নেয়া জ্যাকব মাহলেরও বাংলাদেশের জন্য হতে পারেন মাথা ব্যথার কারণ।
অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের মিশেলে দারুণ একটা দল সিঙ্গাপুর। যাদের গোল স্কোরিং অ্যাবিলিটি দারুণ। বাংলাদেশে দলে সম্প্রতি দু'জন তারকা যোগ দিলেও ফরোয়ার্ড পজেশনে ঘাটতি কিন্তু রয়েই গেছে। আভাস আছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুনের ম্যাচে অভিষেক হতে পারে ফাহমেদুলের। টিন এইজার্স এই ইতালি প্রবাসী পারবেন তো বাংলার লামিনে ইয়ামাল হতে?
]]>