রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানি আয় ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে এ আয় ছিল ১ হাজার ৭৫৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১ হাজার ৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে এ আয় ছিল ৯৫৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
এ ছাড়া ৯০৫ কোটি ৩ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে এ আয় ছিল ৭৯৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে রফতানি আয় বেড়েছে ১৭.৭২ শতাংশ
এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৭৪ কোটি কোটি ১৯ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি বেড়েছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৮ লাখ ডলারে।
আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জুলাই-ডিসেম্বরে রফতানি হয়েছে ৫৭ কোটি ৭২ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে।
এছাড়া সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
]]>