দেশে ফেরার পথে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু

৩ সপ্তাহ আগে
মালয়েশিয়ায় বিমানে ওঠার আগে মো. হাকমত আলি খান (৪৪) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে চলমান অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নাম নিবন্ধন করে সব প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে ফিরছিলেন তিনি। তবে বিমানে ওঠার আগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মো. হাকমত।

 

স্থানীয় সময় পৌনে ৩টার দিকে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলার-৩১৬ ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিল ওই প্রবাসীর।

 

মৃত হাকমত আলি খানের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার সদর রসুলপুরে। তার বাবার নাম মো. ফজলুল হক খান।


এ দিকে ইউএস বাংলা বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মো. আমানুল হক মৃধা পলাশ জানিয়েছেন, অন্যান্য যাত্রীর মতো হাকমত আলি খান বোর্ডিংপাস সম্পন্ন করে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময়ও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের ৫ মাসের বকেয়া বেতন: যা জানালো হাইকমিশন

 

কিন্তু হঠাৎ বিমানে ওঠার আগমুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

পরে নিহতের মরদেহ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে সেরডাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএসবাংলার ওই কর্মকর্তা।

 

এদিকে ট্রাভেল এজেন্সি এনজেডট্রিপ কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৭ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুর অফিসে গিয়ে হাকমত আলি খান নামে ওই প্রবাসীর কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার একটি বিমান টিকিট ক্রয় করেন। তার মৃত্যুর খবর দুঃখজনক উল্লেখ করে মরদেহ দেশে পাঠাতে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন এজেন্সি কর্তৃপক্ষ।

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় মানবপাচার চক্রের কবল থেকে ১১ বাংলাদেশি উদ্ধার

 

হাকমত আলি খানের মরদেহ দেশে পাঠাতে তার ভিসা প্রদানকারী এজেন্সি ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

হাকমত আলি খান দেশটিতে অনিয়মিত থাকার কারণে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট ও ইমিগ্রেশন থেকে স্পেশাল পাস নিয়েছিলেন। তবে তার পরিবার ইমিগ্রেশন থেকে ইস্যু করা স্পেশাল পাসের মেয়াদ থাকা অবস্থায় নিহতের মরদেহ দেশে পাঠানোর অনুরোধ করে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন