বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন ড. ইউনূস।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে গত সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টায় ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে রওনা দেন ড. ইউনূস। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে অর্থনীতি মজবুত অবস্থায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূসকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। ওই সময় গান স্যালুট ও গার্ড অব অনারের মাধ্যমে তাকে সম্মান জানানো হয়। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান।
তিন দিনের সফর চলাকালে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠকে অংশ নেন ড. ইউনূস। সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা, এলএনজি ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণসহ জ্বালানি সহযোগিতা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ মালয়েশিয়ার (আইএসআইএস) মধ্যে সহযোগিতা, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) ও চিপ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মিমোস (এমআইএমওএস) এর মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বার এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক চেম্বারের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক স্মারক।
আজ প্রধান উপদেষ্টাকে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়া হয়।
]]>