দেশি গরুতেই কোরবানির জোগান, চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানোর দাবি

৫ দিন আগে
রংপুর বিভাগে কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ১৯ লাখ ৮০ হাজার গবাদি পশু। দুই সপ্তাহ পরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ দফতর। তবে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু চোরাচালান ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি খামারিদের।

রংপুরের গিলাবাড়ি এলাকার আরজু বেগম। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পশুর যত্নে ব‍্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। আরজু জানান, দুটি দেশি জাতের গরু বিক্রি করে বন্ধকি জমি ছাড়াবেন। সামনের ঈদের জন্য আরও দুটি ছোট গরু কিনবেন।

 

ঈদুল আজহা ঘিরে আরজু বেগমের মতো জেলার প্রায় সব খামারির ব্যস্ততা এখন পশু লালন পালনে। তবে খামারিদের রক্ষায় ভারতীয় গরু যেন কোনোভাবেই দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে সীমান্তে কঠোর নজরদারির দাবি তাদের।

 

আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ ঘিরে সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র, ঝুঁকিতে খামারিরা

 

খামারিরা বলেন, দেশে পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। কোনোভাবেই যাতে ভারত থেকে গরু না আসতে পারে সেদিকে প্রশাসনকে নজর  রাখতে হবে।

 

রংপুর ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসিফুল ইসলাম বলেন, বর্ডার দিয়ে গরু চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ ভারতীয় গরু ঢুকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের খামারিরা।

 

সীমান্ত দিয়ে অবৈধ গরু চোরাচালান রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের। রংপুর প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, গরু চোরাচালান রোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবার পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ থেকেই গবাদিপশু আসবে না। ফলে খামারিরা গরুর ভালো দাম পাবেন।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৮০ হাজার পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে ৫ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি পশু।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন