বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে মিছিলে হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনি হুকুমের আসামি।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিছিলে হামলা ও গুলিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে মামলা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ৩ নম্বর ক্রমিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নাম রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম মাজহারুল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে গণহত্যায় নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ছাড়াও এজাহারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ: রাজুতে জড়ো হচ্ছেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন কিনা সেটি আমাদের জানা নেই। থানায় জামিনের কোনো আদেশও আসেনি।
বুধবার (৭ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ।