বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে বেসরকারি মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের ১৪তম ব্যাচের ইন্টার্ন সমাপ্তি ও এমবিবিএস সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
নিউইয়র্কের ঘটনায় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনি যখন পরাজিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন, উনাদের সমর্থকদের তো এ ধরনের কাজের বাইরে আর কিছু করার নেই আপাতত। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন যেগুলো করছে, এগুলো তো আরও ধ্বংসাত্মক।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা: আমীর খসরু
নিরাপত্তা নিয়ে দূতাবাসের গাফেলতি ছিল কী না— এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ‘নিরাপত্তা তো দূতাবাসের বিষয় না। সেটা তো সেদেশের বিষয়। দূতাবাসের ইন্টেলিজেন্স টিম যারা আছে, তাদের হয়তো এটা জানা উচিৎ ছিল। অ্যানিওয়ে এগুলোতে কিছু আসে-যায় না। একটা গণতান্ত্রিক দেশে অনেক কিছুই হতে পারে। এটা আমাদের জন্য এমন বড় কিছু না। গণতান্ত্রিক সব দেশে এগুলো হয়ে থাকে। যার সমর্থন আছে সেও করতে পারে, যার সমর্থন নেই, সেও করতে পারে। এ কাজ করতে তো খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না।’
এর আগে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামীদিনে মা ও শিশু হাসপাতালকে ইউনিভার্সিটিতে রুপান্তর করে স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি বিস্তৃত করা হবে। সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, এনজিওসহ সবার সমন্বয়ে আগামীদিনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিদেশে গিয়ে যে পরিমাণ রোগী বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নেন, সেটা বন্ধ করতে চাই। যেদিন বন্ধ হবে সেদিন সফলতার উদাহরণ সামনে আসবে। যারা নতুন ডাক্তার হয়েছেন, তাদের এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
]]>