সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের নদী ও পুকুরে চলে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন। একইসঙ্গে শুরু হয় সামনের বছরে দেবীর আগমনের জন্য ভক্ত-পুণ্যার্থীদের অধীর অপেক্ষা।
এদিন সকাল থেকেই মণ্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে বিজয়ার প্রার্থনা জানান। এরপর শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় বিসর্জন স্থলে। ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি আর শঙ্খধ্বনিতে মুখর ছিল গোটা পরিবেশ।
দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর এই মুহূর্তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে সৃষ্টি হয় আবেগ ও মন খারাপের এক মিশ্র অনুভূতি। কারণ, দশমী মানেই এক বছরের জন্য তাদের দেবী দুর্গার বিদায়।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ জানিয়েছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর আনন্দ ও শান্তিতে পূজা উদ্যাপন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিষাদের সুর, সিঁদুর খেলায় দেবী দুর্গাকে বিদায়
এবার রাজধানীর ২৫৪টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর ১০টি ঘাটে সম্পন্ন হয়।
ঘাটগুলো হলো: বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট, নবাববাড়ি ঘাট, লালকুঠি ঘাট, তুরাগের ধউর ঘাট, মিল ব্যারাক ঘাট, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট, আমিনবাজার ব্রিজ ঘাট, বসিলা ব্রিজ ঘাট ও বালু নদের কয়েতপাড়া ঘাট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয় বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট ও নবাববাড়ি ঘাটে।
বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির প্রায় ৭ হাজার সদস্য। বিসর্জন শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাটগুলোকে আনা হয় সিসিটিভির আওতায়।
এ ছাড়া নৌ-দুর্ঘটনা রোধে টহল দেয় নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড। স্ট্যান্ডবাই রাখা হয় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট, বোম ডিসপোজাল ও কে-নাইন।