দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন এখনও অধরা: নাহিদ

৪ সপ্তাহ আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলাম, বাস্তবে তা এখনও অধরাই রয়ে গেছে। বরং রাজনৈতিক সহিংসতা, দলীয় দ্বন্দ্ব ও অপরাজনীতির দুষ্টচক্রে দেশ আরও জর্জরিত।‘

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে বরিশাল নগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বরিশালের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। দেশের সকল রাজনৈতিক দলের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলাম, বাস্তবে তা এখনও অধরাই রয়ে গেছে। বরং রাজনৈতিক সহিংসতা, দলীয় দ্বন্দ্ব ও অপরাজনীতির দুষ্টচক্রে দেশ আরও জর্জরিত। আমরা রাজনৈতিক সহিংসতা ও চাঁদামুক্ত অর্থনীতি দেখতে চেয়েছিলাম। তরুণ প্রজন্ম এখনও জেগে আছে তারা রাজপথে আছে এবং থাকবেও। বাংলাদেশকে শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।’

 

আরও পড়ুন: দেশকে মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার বিভাজন করেছিল শেখ হাসিনা: নাহিদ

 

শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের রাজনীতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই দুই মহৎ নেতার আদর্শই হবে এনসিপির রাজনীতির ভিত্তি। জেলা, উপজেলা ও প্রতিটি ইউনিটে দ্রুত কমিটি গঠন করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। কেউ যদি আমাদের দলের সদস্যকে হুমকি দেয়, তাহলে তাকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।’

 

বক্তব্যের শুরুতে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় নাহিদ বলেন, ‘মোরা দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা শুরু হরছি। মোগো লাগে বরিশালবাসী আছেনতো?’

 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং বক্তব্য রাখেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত আবদুল্লাহ নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের রিমোট কন্ট্রোল কোথা থেকে পরিচালিত হয়? ভারত না সেনাবাহিনী থেকে? শাপলা প্রতীকের অনুমোদনে এত গড়িমসি কেন। নৌকাকে ব্যালট থেকে বাদ দিতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, এখন চাঁদাবাজ বললে একটা দলের গায়ে লাগে, আবার ভোট চোর বললে আরেক দলের গায়ে লাগে। দেশে এখন একটা কথাই চলে জিন্দা থাকতে চাইলে দিতে হবে চান্দা। এই অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করতেই এনসিপির আবির্ভাব।

 

আরও পড়ুন: স্বৈরাচারের পতন হলেও সিস্টেমের পরিবর্তন হয়নি: নাহিদ

 

এনসিপিকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে তিনি বলেন, আমাদের দল ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসেনি। এনসিপির জন্ম সংকট থেকে, জনগণের চাহিদা থেকেই। তাই দেশের যেকোনো সংকটে আমরা প্রস্তুত।

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা, কেন্দ্রীয় নেত্রী নাহিদা সরোয়ার নিভা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজিনা, ফয়সাল মাহমুদ শান্তসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

 

এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় দ্বীপজেলা ভোলা থেকে এসে বরিশালের হাসপাতাল রোডে নামেন। পদযাত্রা করেন এনসিপির নেতারা। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তারা। পরে রাত সাড়ে ৯টায় পথ সভায় যোগ দেন। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন